প্রত্যক্ষদর্শী ভিক্ষুক আসমা খাতুনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, প্রতিদিনের মতো কয়েকজন ভিক্ষুক বড় বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষা করছিলেন। এরপর ভিক্ষা ও যাকাতের কাপড় সংগ্রহের জন্য তারা দিলালপুর মহল্লার বড়বাজারের কাছে পানির ট্যাংকির কাছে জড়ো হন।
এ সময় ভিক্ষুক কল্পনার সঙ্গে শিল্পী ও তার মা আল্লাদীর ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় কল্পনা খাতুনের স্বামী বাবুল হোসেন (৫০) ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। তিনি এসে আল্লাদী ও তার মেয়ে শিল্পীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান আল্লাদী। এ সময় অন্য ভিক্ষুকরা ধাওয়া করলে ভিক্ষুক বাবুল পালিয়ে যান। তার পরনে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, তারা ভাসমান ভিখেরি। আগের কোনো বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। কল্পনার বাড়ি সুজানগর উপজেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ঘাতককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।