নিউজ ডেস্ক : মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ডা. রহিমা খাতুন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডিসি ডা. রহিমা খাতুন বলেন, ‘আহতদেরও চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে।’
আজ সোমবার ভোরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় ২৬ জন যাত্রী নিহত হন। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধাকারীরা এখনও তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে শিবচর ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, ভোরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে আসছিল স্পিডবোটটি। ঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার করা ৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
এ ছাড়া শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শ্যামল বিশ্বাস বলেন, স্পিডবোটটি মাওয়া থেকে যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী রয়েছে। মরদেহগুলো পুরান কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।