ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছুটির দিনে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে মানুষের ঢল নেমেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের শুরুর দিকে জনসমাগম ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যে সরব ভূমিকা ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে।

মুভমেন্ট পাস নিয়ে বিধিনিষেধের শুরুতে যে কড়াকড়ি ছিল তা এখন আলোচনা থেকে বহু দূরে। এখন মুভমেন্ট পাস চেক করতে দেখা যাচ্ছে না পুলিশকে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনো চলছে মুভমেন্ট পাস চেকিং। কিন্তু পিক-আওয়ারে সব গাড়িকে একসঙ্গে ধরে চেক করা সম্ভব হচ্ছে না।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পড়েছের নানা বয়সী নারী-পুরুষ। সাজসজ্জা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া, এক শপিংমল থেকে অন্য শপিংমলেও অবাধে আসা-যাওয়া করছেন ক্রেতারা।

রাস্তায় কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুর দিকে পুলিশ ব্যাপক চেকিং করত, যেন তাদের অতিক্রম করাই ছিল দুঃসাধ্য কাজ। কিন্তু কয়েকদিন ধরে রাস্তায় পুলিশ আর কিছু বলছে না। রাস্তায় দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে আর পুলিশে যেন নীরব হয়ে গেছে।

নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা গাজী সাঈদ জুম্মন বলেন, প্রথম প্রথম মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হতে হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন মুভমেন্ট পাস ছাড়াই রাস্তায় বের হতে পারছি। মিরপুর থেকে ধানমন্ডি, এরপর নিউমার্কেটে এসেছি কিন্তু কেউ আটকায়নি আমাকে। রাস্তায় পুলিশ থাকলেও চেকপোস্ট চোখে পড়েনি।

নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, সব স্থানেই মানুষ আর মানুষ। যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ঈদ বাজার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি চেকপোস্ট থেকে পুলিশের এক সদস্য বলেন, কারণ থাক বা না থাক, মানুষ রাস্তায় বের হবেই। অনেকে বোঝেন-ই না মুভমেন্ট পাস কী। আবার যারা বোঝেন, তাদের অনেকে নেন না। উল্টো আমাদের সঙ্গে তর্ক করেন। জনগণের সহযোগিতা করার মনোভাব নেই বললেই চলে। এমন একটা দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে তো আমরা সবাই চেষ্টা করছি। যদি সহযোগিতা না করে, তাহলে কথা বলে কতক্ষণ? আপনি তো বোঝেনই সব।

ট্রাফিক বিভাগের রমনা জোনের সহকারী উপ-কমিশনার (এসি) মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, গত রোববার থেকে রাস্তায় গাড়ির তীব্র চাপ। চেকপোস্টগুলোতে চেক করে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। সব গাড়ি যদি চেক করতে যাই, তাহলে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে। উল্টো লোকজন ভোগান্তিতে পড়বে। মোটামুটি অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। যারা বের হচ্ছেন, প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কারণ আছেই। তবে ঢালাওভাবে চেক না করে সন্দেহভাজন মনে হলে চেকপোস্টে চেক করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে।

More News...

বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভারতের সেনাপ্রধান

আমদানির ঘোষণায় একদিনে পেঁয়াজের দাম কমলো ২৫ টাকা