ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১০ বেড বসিয়ে ১১ কোটি টাকার বিল

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১০ বেড বসিয়ে ১১ কোটি টাকার বিল
তাহের পন্ডিত, ফেনী প্রতিনিধি : আইসিইউ, সিসিইউ আর প্রয়োজনীয় সেবা চালু করতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মাত্র ১০টি আইসিইউর বেড বসিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের ১১ মাস পার হতে চললেও চালু করা সম্ভব হয়নি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)।
ব্যায়ের ফাইলও ইতিমধ্যে গায়েব হয়েছে। ফাইল ছাড়া তথ্য দিতে নারাজ সংশিষ্ট কর্মকর্তাগণ। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এ জেলায় রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় সংকটাপন্ন রোগীরা আইসিইউর অভাবে মারা যাচ্ছেন।
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে জেলায় কোভিডের প্রকোপ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড সেবা দেয়ার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের ২য় ও ৩য় তলায় আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মঈনউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ০৪.০০.৩০০৩.৫১২.১৬.৩৩২.১৬.৩২নং স্মারকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট তৎকালীন ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও সিসিইউর অনুমোদন দিয়েছেন। একইসঙ্গে এ প্রকল্পের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনীর সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধার কারণে বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন। এই হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট চালু করা হলে মুমূর্ষু ও সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে আর ঢাকা, চট্টগ্রাম স্থানান্তর করতে হবেনা। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর বৃহত্তর নোয়াখালীতে এটিই প্রথম আইসিইউ ও সিসিইউ।
অন্যদিকে ব্যবহার না করায় মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে সমস্যার সমাধান হলে দ্রুত আইসিসিইউ’র কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটিতে ৭৫ শয্যায় আইসোলেশন উন্নীত করা হয়। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন কোভিড পজেটিভ রোগী মারা যান।
সম্প্রতি জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে ১৩ জন পজেটিভ রোগী রয়েছেন। গত বছরের ১৭ মে হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১১ মাস অতিবাহিত হতে চললেও চালু করা সম্ভব হয়নি আইসিইউ সেবা। ইতিমধ্যে আইসিইউ সেবা চালুর জন্য একজন চিকিৎসক ডা. আসিফ ইকবাল ও ৫ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করতে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, ৩ জন কনসালটেন্ট ও ৬ জন মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো: ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, করোনার সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ন। নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার প্রস্তুতি চলছে। খুব শীঘ্রই দুই শয্যা চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

More News...

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন