নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের আজ চতুর্থদিন। লকডাউনের মধ্যেই শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর ঢাকা-ময়মনসিংহ প্রধান সড়কে দেখা গেছে বিআরটিসির যাত্রীবাহী বাস চলতে। এমনকি যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা যায়।
এছাড়া সড়কে অবাধে চলাচল করছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আছে মাইক্রোবাস, সিএনজি চলিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট। চেকপোস্টে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুত গতিতে ব্যক্তিগত গাড়িগুলো সড়কে ছুটছে। প্রায় প্রতিটি গাড়িতেই তিন থেকে চারজনের অধিক যাত্রী রয়েছে। কয়েকটি মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে হঠাৎ দেখা গেল মহাখালীগামী একটি বিআরটিসির বাস থামিয়ে যাত্রী তুলছে। এছাড়া রাস্তার পাশে পরিবহনের অপেক্ষায় ছিলেন বেশ কিছু যাত্রী। তাদের অনেকে বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেল থামিয়ে যাত্রী ডাকছেন। এছাড়া চেকপোস্টে অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়িকে চেক না করেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অবাধে চলছে গাড়িগুলো।
উত্তরা পশ্চিম থানার একজন উপ-পরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ সব গাড়ি চেক করা হচ্ছে না। যেসব গাড়িতে স্টিকার বা প্রতিষ্ঠানের ফাইল দেখা যাচ্ছে সেসব গাড়ির চালককে কিছু জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। কাউকে কিছু বললে অফিসের দোহাই দেন। কেউ কেউ মুভমেন্ট পাশ দেখান।
তিনি জানান, এভাবে অফিস খুলে ও যাত্রীদের যাতায়াতের পাশ দিয়ে শতভাগ ‘লকডাউন’ কার্যকর করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকার দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। ১৪ এপ্রিল থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে; যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।